হে_নির্বোধ_নারী।
#শিব_রাত্রি_পালন
নারী রা এতো ভক্তি সহকারে এতো নিষ্ঠা ও উন্মাদনার সাথে যে শিব-রাত্রি পালন করে, তার ইতিহাসটা কি তারা জানে ? আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা যদি শাস্ত্র গ্রন্থ গুলি পড়তো বা জানতো তাহলে এতো অশ্লীল-অসভ্য-বর
এবার জানুন শাস্ত্রগ্রন্থ গুলিতে শিবের চরিত্র সম্পর্কে বা শিব রাত্রি পালন সম্পর্কে কি ইতিহাস আছে ——শিবের চরিত্র সম্পর্কে বিভিন্ন পুরাণ গ্রন্থে বিভিন্ন রকম বর্ননা থাকলেও কাহিনী বা ঘটনা ধারা মোটামুটি প্রায় একই রকম ।
শিব সম্পর্কে বর্ননা পাই ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, মার্কন্ডেয় পুরাণ, গড়ুর পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, নারদ সংহিতা, শিব উপাখ্যান, শিবায়ন —- মূলত এই কয়েকটি গ্রন্থে ।
এই গ্রন্থ গুলিতে যেরকম বর্ননা পাই তাহলো, শিব অত্যন্ত কামুক, দুশ্চরিত্র, ব্যভিচারি, নেশাগ্রস্থ, অপরিচ্ছন্ন, বিকৃতি রুচির।
সর্বদা গাজায় আসক্ত থাকে ।
দিনের বেলায় “কুচনি” নামক বেশ্যা পল্লীতে সে পড়ে থাকে ।
তার দশ সহস্রাধিক উপপত্নী রয়েছে ।
এই নিয়ে তার সর্বক্ষনের গৃহবিবাদ । সন্ধ্যার পরে চিতার ছাই মাখিয়ে, গাজায় টান মেরে শ্মশানে পড়ে থাকে ।
অধিকাংশ রাতেই বাড়ি ফেরে না ।
কখনো কখনো মৃতের পঁচা গলা মাংস ভক্ষন করে ।
পোশাক বলতে দিনের বেলায় শুধু কোমরে বাঘের ছালটুকু,আর রাতে উন্মাদ — বস্ত্রহীন।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শিবলিঙ্গ পূজা বা শিব রাত্রি পালন সম্পর্কে যে কাহিনী পাই তা এতোটাই অশ্লীল-কদর্য, যা বর্ননারও অযোগ্য।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর “উপনিষদের ভাষ্য” গ্রন্থে এই বর্ননা সম্পর্কে বলেছেন —” ইহা রতিশাস্ত্রকেও হার মানাইয়া দেয়, – – – – এতোটাই কুরুচিসম্পন্ন “( পাতা- ৯৬, পঞ্চম সংস্করন)।
অতি সংক্ষেপে কাহিনীটি হলো —–” কামাতুর শিবের কামনার আগুন থেকে সতীত্ব-নারীত্ব বাঁচাতে সমস্ত নারীরা স্বর্গ ছেড়ে পালাতে থাকে । দিন-ক্ষন নেই, নেই স্থান-কাল-পাত্র
এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে সমস্ত নারীরা ব্রহ্মার কাছে গেল ।
ব্রহ্মা তাদের কোন পরামর্শ না দিতে পেরে বিষ্ণুর কাছে পাঠিয়ে দেয় ।
অবশেষে বিষ্ণুর কাছে গেলে তিনি নারীদের পরামর্শ দিয়ে বলে, যখন শিব তাদের নারীত্ব হনন করবে তখন শিবের লিঙ্গ ছেদ করে দিতে হবে এবং ঐ ছেদ করা লিঙ্গকে বেলপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে শান্ত করবে —– তবেই শিবের কামনা কে দমন করা যাবে।
বিষ্ণুর কথামতো নারীরা একদিন অতি সুকৌশলে ও গোপনে শিবের লিঙ্গ (যৌনাঙ্গ) কেটে নেয় ।
কিন্তু কিছুতেই শিব লিঙ্গকে শান্ত করা যাচ্ছে না ।
এমতাবস্থায় নারীরা পুনরায় বিষ্ণুর কাছে গেলে সে পরামর্শ দিয়ে বলে যে, এই কাটা লিঙ্গ শীল-নড়া দিয়ে থেঁতলে বেলপাতা দিয়ে চাপা দিতে হবে ।
এভাবে অবশেষে শিবলিঙ্গ শান্ত হয় এবং শীল-নড়া দিয়ে থেঁতলে দেওয়ার ফলে শুধু বীর্য-দ্বার টুকু অক্ষত থাকে ” ( সূত্র — ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, দেবদেবীর জন্মবৃত্তান্ত খন্ড, চতুর্থ সংস্করন, গীতা প্রেস, পাতা- ১৫৮ থেকে ১৬২, ১৬৬ থেকে ১৭২, ১৭৪)। পরবর্তীকালে শিবের এই বীর্য-দ্বারের পূজা করা হয়।
মার্কন্ডেয় পুরানের মৎস খন্ডে শিব সম্পর্কে আমরা জানতে পারি —” পাঁচ-ছয় দিবস শঙ্কর বাড়িতে নাফিরলে উমা কুচনি পাড়ার পতিতালয় হইতে লোক দিয়া ধরিয়া আনিবার আজ্ঞা দিতেন ” ( ষষ্ঠ সংস্করন, সত্যম পাবলিকেশন্স, পাতা- ২১৮)। “শিবায়ন” গ্রন্থে মাতাল শিবের একটি চমৎকার বর্ননা পাই —” গাজার নেশায় শিবের দুচোখ ঢুলুঢুলু, দুপা টলছে, সারা গায়ে ছাই ভস্ম মাখানো, শ্মশান থেকে পথ চিনে আসতে পারছে না, পাড়া প্রতিবেশীর বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ।
অবশেষে প্রায় ভোর রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রী উমার পা ধরে মা মা বলে কাঁদতে শুরু করে ” ( বাংলায় অনুবাদ — দ্বিজ মাধব, দ্বিতীয় সংস্করন, পাতা– ৬১)। বিষ্ণু পুরাণের দক্ষ যজ্ঞ পর্বে শিবের সঙ্গে সতীর বিয়ের সময়ের একটি মজার বর্ণনা পাওয়া যায়, তাহলো — শিব বিয়ে করতে গিয়েছে ।
কোমরে শুধু বাঘের ছাল, আর বেল্ট হিসেবে জড়ানো রয়েছে সাপ।
শিব বিয়ের পিড়িতে বসলে শালিকারা মজা করার জন্য সাপের মাথায় গাছড়া ধরলে সাপ শিবের কোমর ছেড়ে পালিয়ে যায় ।
সঙ্গে সঙ্গে শিবের কোমর থেকে বাঘের ছাল পড়ে যায় ।
আর কি, শাশুড়ির সামনে ল্যাংটো শিব ।
শিব সম্পর্কে এই হলো ধর্ম গ্রন্থ গুলির বর্ননা । যে সব নারীরা শিব রাত্রি পালন করেন বা শিবলিঙ্গ পূজা করেন এবার তাদের কাছে আমার প্রশ্ন — আপনারা কি শিবের মতো পুরুষ স্বামী হিসেবে পেতে চান ? আসলে ব্রাহ্মন্যবাদী সিস্টেমে আপনারা ব্রাহ্মন্যবাদের
তাই ভালো মন্দকিছু বিচার না করে, ইতিহাস না জেনে, শুধু অন্ধ ভক্তিতে ডুবে আছেন — সেখানে যুক্তি-তর্ক, বিদ্যা-বুদ্ধি সব অচল ।
তাইতো অশিক্ষিতা থেকে শুরু করে B.A., M.A. পড়া মেয়েরা, স্কুল-কলেজের শিক্ষিকা, ডাক্তারি-ইঞ্জিন
শিবরাত্রি পালন করবো, অথচ স্বামী মদ-গাজা খেলে, দুশ্চরিত্র – লম্পট হলে এতো রাগ-অশান্তি করা হয় কেন ? আর এই ইতিহাস জানার পরেও যদি কোনো মেয়ে শিবরাত্রি পালন করে, তবে আত্মমর্যাদাহীন,
#সংগৃহীত!